শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতা ২০২৩ ইং। এই প্রতিযোগিতার প্রশ্ন কেমন হতে পারে এ নিয়ে জানার আগ্রহ সবার আছে ।তাই এই প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও সমাধানসহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল সম্পর্কে প্রশ্ন হবে। শেখ রাসেল সম্পর্কে ও তার জীবন বৃত্তান্ত গ্রন্থ বা আলোচনার আলোকে কিছু তথ্য আপনাদের জানানো হবে।
যে বিষয়গুলো থেকে আপনারা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আপনার জ্ঞান ও বুদ্ধির পরীক্ষা দিতে পারেন। যে সকল প্রশ্ন এ প্রতিযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ধারণা করা যাচ্ছে সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হল এবং উত্তর সহ দেওয়া হলো।
শেখ রাসেল প্রতিযোগিতার তারিখ, বয়স ও লিংক
গ্রুপ ক: ৮-১২ বছর
গ্রুপ খ: ১৩-১৮ বছর
নিবন্ধন:
০১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে (quiz.sheikhrussel.gov.bd) নিবন্ধন করা যাবে।
অনলাইন প্রতিযোগিতা:
গ্রুপ ক:: ৮-১২ বছর
০২ অক্টোবর ২০২৩, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনো ১০ মিনিট।
গ্রুপ খ:: ১৩-১৮ বছর
০৩ অক্টোবর ২০২৩, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে যে কোনো ১০ মিনিট।
পুরস্কার:
গ্রুপ ক: ৮-১২ বছর
৫টি ল্যাপটপ (কোর আই ৭, ১১ জেনারেশন)
গ্রুপ খ:: ১৩-১৮ বছর
৫টি ল্যাপটপ (কোর আই ৭, ১১ জেনারেশন)
নিয়মাবলি:
- কুইজ প্রতিযোগিতাটি শুধু ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য উন্মুক্ত।
- একজন প্রতিযোগী একবারই অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
- প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বরাদ্দকৃত সময় ১০ মিনিট।
- সকল প্রশ্নের মান সমান। ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যাবে না।
- সকল প্রশ্নের উত্তরের জন্য চারটি বিকল্প থেকে একটি সঠিক উত্তর বাছাই করতে হবে (এমসিকিউ)।
- কম সময়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক উত্তরদাতা থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হবে।
- চূড়ান্ত বিজয়ীদের ক্ষেত্রে বয়স যাচাই সাপেক্ষে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
- ভুল/মিথ্যা তথ্য দিয়ে অংশগ্রহণ করলে তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে।
কুইজের বিষয়:
শেখ রাসেলের জন্ম, দুরন্ত শৈশব, শিক্ষা জীবন, স্বপ্ন, ভ্রমণ, পছন্দ, খেলাধুলা, তাঁর উপর রচিত গ্রন্থ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তসহ বিভিন্ন বিষয় থেকে প্রশ্ন নির্ধারণ করা হবে।
অনলাইনে আবেদন করুন:
গ্রুপ ক রেজিস্ট্রেশন (৮-১২ বছর)
গ্রুপ খ রেজিস্ট্রেশন (১৩-১৮ বছর)
শেখ রাসেল কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩ ইং
প্রশ্ন-১ : ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বর্বর ঘাতক চক্রের নির্মম বুলেটে প্রাণ হারাতে হয় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু রাসেলকেও। শেখ রাসেল ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান। কত বছর বয়সে নিহত হন শেখ রাসেল?
উত্তর : ১০ বছর ৯ মাস ২৮ দিন বয়সে শেখ রাসেল নিহত হন।
প্রশ্ন-২ : শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের একটা বড় অংশই কারাগারে কাটিয়েছেন। এমনকি একটানা বছরের পর বছরও তাঁকে বিনা বিচারে কারাগারে বন্দি থাকতে হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জেলগেটে গিয়ে শেখ মুজিবের সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁর ছোট ছেলে শেখ রাসেল কারাগারকে কী বলত?
উত্তর : আব্বার বাড়ি।
শেখ রাসেল সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ৫০ প্রশ্ন
১। শেখ রাসেল দিবস কবে?
উত্তর : ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস।
২। শেখ রাসেল দিবস কোন শ্রেণিভুক্ত দিবস?
উত্তর : শেখ রাসেল দিবস ‘ক’শ্রেণিভুক্ত দিবস।
৩। শেখ রাসেল এর পরিচয় কী?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।
৪। শেখ রাসেল কোথায় কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন শেখ রাসেল।
৫। ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ বইটি কে লিখেছেন?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইটি লিখেছেন।
৬। শেখ রাসেলের মাতার নাম কি?
উত্তর : শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
৭। শেখ রাসেলের ভাই-বােন কত জন?
উত্তর : পাঁচ ভাই-বােন।
৮। পাঁচ ভাই-বােনের মধ্যে রাসেলের অবস্থান কততম?
উত্তরঃ পাঁচ ভাই-বােনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ।
৯। শেখ রাসেলের ভাইদের নাম কি?
উত্তর : শেখ কামাল, শেখ জামাল
১০। শেখ রাসেলের বােনদের নাম কি?
উত্তর : শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা।
১১। শেখ রাসেল কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তেন?
উত্তরঃ শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তেন।
১৩। শেখ রাসেলকে কত সালে হত্যা করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে ।
১৪। শেখ রাসেলকে কত তারিখে হত্যা করা হয়?
উত্তরঃ ১৫ আগস্ট।
১৩। শেখ রাসেলকে কত সালে হত্যা করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৭৫ সালে।
১৫। শেখ রাসেলের মাতৃশিক্ষায়তনের নাম কি?
উত্তরঃ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ।
১৬। শেখ রাসেলকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার বয়স কত ছিল?
উত্তরঃ ১০ বছর।
১৭। শেখ রাসেলের পরিচিতির কারণ কি?
উত্তরঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র।
১৮। শেখ রাসেল তার বােন শেখ হাসিনাকে কি নামে ডাকতাে?
উত্তরঃ হাসু আপা।
১৯। ভাইয়া আমাকে মারবে না তাে? এ কথাটি শেখ রাসেল কাকে উদ্দেশ্য করে বলে?
উত্তরঃ ব্যক্তিগত কর্মচারী এ এফ এম মহিতুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলে।
২০। শেখ রাসেলের আদি নিবাস কোথায়?
উত্তরঃ গােপালগঞ্জ।
২১। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তরঃ এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
২২। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ শেখ হাসিনা।
২৩। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ ১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি।
২৪। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদের লক্ষ্য কি?
উত্তরঃ শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশাের পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।
২৫। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়?
উত্তরঃ শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Sheikh Rasel Quiz Questions and Answers 2023
২৬। “আমি মায়ের কাছে যাব” কে,কখন এ উক্তিটি করেছিল?
উত্তরঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানাের সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”।
২৭। শেখ রাসেল নামটি কে রেখেছিলেন?
উত্তরঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
২৯। শেখ রাসেল নামকরণে কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল?
উত্তর : মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
৩০। শেখ রাসেলের ভুবন ছিল কারা?
উত্তর : শেখ রাসেলের ভুবন ছিল তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব, বােন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে।
৩১। শৈশব থেকে শেখ রাসেল কেমন ছিলেন?
উত্তর : শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের।
৩২। কত বছর বয়স থেকে প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট?
উত্তর : মাত্র দেড় বছর বয়স থেকে প্রিয় পিতার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের একমাত্র স্থান হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট।
৩৪। রাসেলের জন্মের আগের মুহূর্তগুলাে কেমন ছিল?
উত্তর : ভীষণ উৎকণ্ঠার।
৩৫। শেখ রাসেল জন্মের সময় কেমন ছিলেন?
উত্তরঃ মাথাভরা ঘন কালাে চুল, তুলতুলে নরম গাল, বেশ বড়সড় হয়েছিল শেখ রাসেল।
৩৬। ১৯৭১ সালে শেখ রাসেলের পরিবারের সদস্যরা কিভাবে কাটিয়েছেন?
উত্তরঃ ১৯৭১ সালে রাসেল তাঁর মা ও দুই আপাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু | তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি এবং বড় দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধে। মা ও আপাসহ পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্ত হন। রাসেল ‘জয় বাংলা’ বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে তখন চলছে বিজয়-উৎসব।
৩৭। কত বছর বয়সে ১৯৭১ সালে শেখ রাসেল নিজেই বন্দি হয়ে যান?
উত্তরঃ .৭ বছর বয়সে।
৩৮। শেখ রাসেল অভিমান করে কাকে ‘আব্বা ‘আব্বা বলে ডাকে?
উত্তরঃ রাসেল তার মাকে ‘আব্বা আব্বা’ বলে ডাকতো।
৩৯। শেখ রাসেল করে মাকে কেন ‘আব্বা’ ‘আব্বা বলে ডাকে?
উত্তর : কারগারের রােজনামচায় ১৯৬৭ সালের ১৪-১৫ এপ্রিলের অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “জেল গেটে যখন উপস্থিত হলাম, ছােট ছেলেটা আজ আর বাইরে এসে দাঁড়াইয়া নাই দেখে আশ্চর্যই হলাম। আমি যখন রুমের ভিতর যেয়ে ওকে কোলে করলাম আমার গলা ধরে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে কয়েকবার ডাক দিয়ে ওর মার কোলে যেয়ে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে ডাকতে শুরু করল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ব্যাপার কি? ওর মা বলল,“বাড়িতে ‘আব্বা’ ‘আব্বা করে কাঁদে তাই ওকে বলেছি আমাকে ‘আব্বা বলে ডাকতে।”
৪০। রাসেলকে নিয়ে কারাগারের রােজনামচা’র ২৭ শে মে এবং ২৮ শে মে ১৯৬৭ সালের স্মৃতিচারণায় বঙ্গবন্ধু কি লিখেছেন?
উত্তর : রাসেলকে নিয়ে কারাগারের রােজনামচা’র ২৭ শে মে এবং ২৮ শে মে ১৯৬৭ সালের স্মৃতিচারণায় বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, রাসেল আমাকে পড়ে শােনাল, আড়াই বৎসরের ছেলে আমাকে বলছে ৬ দফা মানতে হবে- সংগ্রাম, সংগ্রাম চলবে চলবেপাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ভাঙা ভাঙা করে বলে কি মিষ্টি শােনায়! জিজ্ঞাসা করলাম, ও শিখল কোথা থেকে? রেণু বলল, বাসায় সভা হয়েছে তখন কর্মীরা বলেছিল, তাই শিখেছে।
৪২। ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কত বছর বয়সে?
উত্তরঃ ৪ বছর বয়সে।
৪৩। ৪ বছর বয়সে শেখ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কোথায়?
উত্তরঃ ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে।
৪৪। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের কোন শ্রেণীর ছাত্র ছিল?
উত্তরঃ মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
৪৫। মৃত্যুকালে শেখ রাসেল কোন স্কুলের ছাত্র ছিল?
উত্তরঃ মৃত্যুকালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিল।
৪৬। শেখ রাসেলের যেদিন জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু সেদিন কোথায় অবস্থান করছিলেন?
উত্তরঃ রাসেলের যেদিন জন্ম হয় বঙ্গবন্ধু সেদিন ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে প্রচারণায় অংশগ্রহণের জন্য চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন।
৪৭। আমাদের ছােট রাসেল সােনা’ বইটি কে লিখেছে?
উত্তরঃ শেখ হাসিনা।
৪৮। শেখ রাসেলের দুরন্তপনার সঙ্গী কি ছিল?
উত্তরঃ শেখ রাসেলের দুরন্তপনার সঙ্গী ছিল বাই-সাইকেল।
৫০। সরকারি উদ্যেগে প্রথমবারের মতো “শেখ রাসেল দিবস” কবে উদযাপন করা হয়?
উত্তরঃ সরকারি উদ্যেগে ১৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে প্রথমবারের মতো শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়।
শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত
শেখ রাসেল (অক্টোবর ১৮, ১৯৬৪ – আগস্ট ১৫, ১৯৭৫) বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র। ১৯৭৫ সালের সেনা অভ্যুত্থানে শেখ মুজিব হত্যার সময় সপরিবারে তাকেও হত্যা করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তার পরিবার এবং তার ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়। শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন “আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও”।
ব্যক্তিগত কর্মচারী এএফএম মহিতুল ইসলামের ভাষ্যমতে, “রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিল যে ‘আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব’। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, ‘চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি’। বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এতো নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশ ফায়ার।”
প্রাথমিক জীবন
শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ শেখ রেহানা। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
শেখ রাসেলের নামে স্কেটিং স্টেডিয়াম
শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ
১৯৮৯ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন যাতে করে এই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মাধ্যমে শিশু শেখ রাসেলের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে এই দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠিত।